এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম হয় তাঁর। স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাস জীবন নেওয়ার আগে নরেন্দ্র নাথ দত্ত নামে পরিচিত ছিলেন। বিশ শতকের শুরুতে বাংলার উত্থান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। অজ্ঞ, কাতর, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে, তাদের স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যে তিনি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তাঁর ধর্ম-দর্শন-অধ্যাত্মচিন্তার সবটাই জুড়ে আছে মানুষের কথা। তাঁর কাজ, চিঠি, প্রবন্ধ, বক্তৃতা নিজের হাতে গড়ে তোলা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কেন্দ্রেও সেই মানুষের কল্যাণ ও উত্থানের প্রসঙ্গ এবং প্রাধান্য। গুরুভাই তূরীয়ানন্দকে তিনি বলেন, ‘জীবে জীবে, বিশেষত মানুষের মধ্যে তাঁর অবস্থান’।
আর পাঁচজন বাঙালির মতো খাদ্য-রসিক ছিলেন স্বামীজি। রান্না করতেও বিশেষ পছন্দ করতেন তিনি। ভোজনপ্রিয় স্বামী বিবেকানন্দের কথা সর্বজনবিদিত না হলেও তার পরিবার, শিষ্য ও ঘনিষ্ঠ মহলে একথা জানতেন অনেকেই। খাবার পাশাপাশি রান্না করতেও বেশ ভালোবাসতেন । ২০০৩ সালে বাঙালি উপন্যাসিক শঙ্কর ‘জানা অজানা বিবেকানন্দ’ বলে একটি বই লেখেন।’ যেখানে স্বামীজির ভোজনবিলাসের কথা অনেকটাই বিশদে লেখেন।
মা-দিদিমার হাতের স্বাদ, বাঙালির পেটে পিঠের যাদু এখনও অমলিন!
বাঙালি মানেই ভোজনরসিক। সেই তালিকায় মধ্যে রয়েছেন বহু মনিষীও। স্বামীজি সব ধরনের মিষ্টি খাবার দাবারই ভালোবাসতেন বিশেষ করে আইসক্রিম। ১৮৯৩ সাল আমেরিকা সফরে তাঁর আইসক্রিম প্রীতির কথা জানা যায়৷ ভাত, ডাল, মাছ, সবজি, দুধ, মুড়ি, আলুভাজা তাঁর পরবর্তী সময়ে প্রিয় ছিল৷ এছাড়াও মা ভুবনেশ্বরীদেবীর হাতের যে কোনও রান্নাবান্না অত্যন্ত পছন্দ করতেন স্বামীজি।
মাছে-ভাতে বাঙালি! রোজ পাতে রাখলে কী কী উপকার হয় জানেন…
অনেকের মুখেই শোনা যায় স্বামীজির কচুরি প্রেমের কথা। কলকাতার বিভিন্ন দোকান থেকে তিনি কচুরি আনিয়ে খেতেন বলেও জানা যায়। বিদেশে থাকাকালীন বাড়ির বেসমেন্টে বসেই বানিয়ে ফেলতেন কচুরি। শিকাগো যাত্রার আগে তৎকালীন বোম্বাইতে স্বামীজি ১৪ টাকা খরচ করে এক হাঁড়ি পোলাও রান্না করেন শিষ্যদের খাইয়েছিলেন। কই মাছের তাঁর প্রিয় খাবারের আরও একটি। মৃত্যুর দিনেও স্বামী বিবেকানন্দ দুপুরে ভাত আর ইলিশ মাছের ঝোল খেয়েছিলেন বলে জানা যায়। আম, আপেল, লিচু ও পেয়ারা পছন্দ করতেন৷ জল খাবারের পর কমলালেবু, আঙুর খেতে ভালোবাসতেন। সন্ধে ৬.৩০ টার মধ্যেই তাঁকে নৈশভোজ দেওয়া হত। অবসরে রান্নাবান্নায় সাহায্য করতেন তিনি, সবজি ও রুটি করতে ভালোবাসতেন বলে জানা যায়।
এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।